Saturday 28 September 2019

আসছো কি এবার পূজোতে বাড়ি?


Today is Mahalaya, the beginning of Devi Paksha. About six days from now, Durga Puja festivities will begin with fanfare. For us Bongs, this is THE time to go home, to old familiar well loved haunts of childhood. A piece full of nostalgia in honour of this sacred day:

আসছো কি এবার পুজোতে? বাড়ি?
শরৎও এই এখনই পৌঁছেছে, উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে; আকাশে গুরুগম্ভীর আষাঢ়ের মেঘের ওপারে এক চিলতে ছেলেবেলার নীল।

তোমার ওখানেও তো শুনলাম মনমরা ম্লান শহুরে-নদীর প্লাস্টিক খচিত পাড়ে একগুচ্ছ কাশ ফুলের তোড়া- শুধু তোমারই জন্য ধরে আছে শারদ আহ্বান।

তাই, এসো।
ঘর-দোর, ছেলে-পিলে, ছুটি-ছাটা, কুকুর-বেড়াল, কাজ-অকাজ, বলা-কওয়া সব ছেড়ে এইবারটি বাড়ি এসো। হুশ করে এরোপ্লেনে নয়, ট্রেনে। সেকেন্ড ক্লাস স্লিপারে। ধীরে সুস্থে। ভাঁড়ের চা এর ধূমায়িত ভালোলাগায় চুমুক দিতে দিতে.... রাতে শাটারের ফাঁক দিয়ে হালকা হিমেল হাওয়ার পরশ নিতে নিতে, 'নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা'র স্বপ্ন দেখতে দেখতে....
.....
চলে এসো, সোজা বাড়ি।
মফস্বলে এই মোবাইলের যুগে অনেক কিছু বদলে গেছে, অনেক কিছু সেই অমনিই আছে।
ঢোলা পাজামা, পাশে লাঠি, মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে বাবা 'দেশের' পাতায় চোখ বোলাচ্ছেন, পাশে রংচাটা গোদরেজে মার লালপাড় গরদটা সযত্নে প্লাস্টিকে মোড়া। দূর থেকে ঢাকের ফাঁকে ফাঁকে পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্র ভেসে আসছে..... প্যান্ডেলের পথে শিউলি গাছটির নিচটা যেন জাফরানি গালিচা।

পূজা প্যান্ডেল কতশত পুরানো মামিমা, কাকিমা,পিসিমা, ex girlfriend.... একগাল হেসে ঘাড় নাড়িয়ে জিজ্ঞেস করছে: কিরে ভালো আছিস তো?
সোনামুগ আতপ ভোগের খিচুড়ি ছেঁড়া কলাপাতায়, তার সাথে একটুখানি টমেটোর চাটনি। অনেকগুলি নেড়ি কুকুর চাট্টিখানির আশায় বসে দুপুরের রোদে ধুঁকছে।

বিকেল গড়ালে সন্ধিপুজোর ঢাকের মাঝে ধুপ-ধুনোর আড়ালে দুর্গতিনাশিনী দশভুজা, তোমার আমার সুবর্ণ-সুন্দরী মায়ের রাঙ্গা ডলপুতুল ঠোঁটে মোহময়- মমতাময় হাসি.......

বিরাট লম্বা এ জীবনটা আসলে কিন্তু খুবই ছোট্ট, অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছো; হয়তো অনেকটা, হয়তো শুধু কিছুটা এখন বাকি। স্মৃতিচারণা, স্মৃতিবেদনা তো সম্বল, বড় সম্পদ।
তাই, এবার এস।
দেখা হবে।

The masked waitress had placed a wooden tray with three little black porcelain bowls: one, the staple green chillies in vin...